Site icon banglajago.com

ট্রিগার টিপে তিনে তিন! ভোটেও কি লক্ষ্যপূরণ? ‘খেলা হবে’ জবাব সায়নীর

ট্রিগার টিপে তিনে তিন! ভোটেও কি লক্ষ্যপূরণ? ‘খেলা হবে’ জবাব সায়নীর

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র ঘোষণা করল তৃণমূল বাঘিনী সায়নী ঘোষ। একের পর এক নাম প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। আজ সোনারপুর পৌরসভার জনসভায় অংশ নিয়ে স্থানীয় একটি মেলায় যান তিনি। সেখানে তাকে মেলায় অংশ নিতে দেখা যায়। মেলায় গরম ঘুগনির জোটে বিভক্ত তৃণমূল। সানি জানান, প্রচারের ধ্বনিতেই আনন্দ ঘোষণা করা হয়।

যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে দল। নাম ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রজুড়ে চলছে তার দৌড়ঝাঁপ। কখনও স্থানীয় পুজোর অনুষ্ঠানে প্রার্থী হাজির হন, কখনও বাইসাইকেল চালিয়ে গ্রামে ভোট চান। নির্বাচনী প্রচারণায় নানা মেজাজে সায়নী ঘোষ। এবার সোনারপুরে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় হাজির হলেন তিনি। বন্দুক থেকে ফাটানো বেলুন থেকে স্মোকি ঘুগনি ফ্লেভার। শুক্রবার প্রচারে মেজাজে রয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।

তিনি রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডের একটি মেলায় প্রবেশ করেন এবং বেলুন ফেটে তিনবার ট্রিগার টিপে লক্ষ্যে আঘাত করেন। শুধু তাই নয়, ড্রাগন ট্রেনে বসে ডাম্পলিং খেয়ে মেলার আনন্দ উপভোগ করেন তারা। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ট্রেনে তার পাশে বসে একটি চক্র তৈরি করেন। হাতে ছিল ঘুগনির প্লেট।

বন্দুকের ট্রিগার টিপে বেলুনটি ফেটে যায়। কিন্তু নির্বাচনে লক্ষ্য কী হবে? ‘দাবাং’ সাইনির ভোঁতা জবাব, ‘অর্জুনের মতো আমার লক্ষ্য ঠিক জায়গায় আছে। আমাদের সবার আছে, বাংলার মানুষের আছে। ১ম আমরা তা বুঝব। আমরা মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

সাইনির মতে, তিনি সাধারণ মানুষের সাথে এইভাবে সুখে থাকতে পছন্দ করেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ানি ঘোষ শুক্রবার বিকেলে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জনসভা করেন। এই জনসভায় তিনি বিজেপি ও বামেদের কটাক্ষ করেন।

এরপর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনসভা শেষ করে একটি হনুমান মন্দিরে পূজা দেন। সেখানে হনুমান চালিশা পাঠ করেন। এরপর তিনি রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ঈদ মেলায় যোগ দেন। তিনি বিধায়ককে পাশে নিয়ে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি এলাকার ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ করতেও দেখা যায় তাকে।

তবে কি প্রচারের উদ্দেশ্যে এই মেলায় আসা? সাইনির দাবি, আমরাও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করি। এত কাজের মাঝে নিজের শৈশবকে একটু খুঁজে পেলে ক্ষতি কী! নাম ঘোষণার পর থেকে টানা ৩৫ দিন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রচারণার মাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন এই প্রার্থী। কথিত আছে, স্থানীয় মেলায় গিয়ে প্রচুর শক্তি অর্জিত হয়েছে।

Exit mobile version