কালীঘাটে পয়লা বৈশাখের ভিড়ে সন্তুষ্ট নন সেবায়েত-ব্যবসায়ীরা

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এমনই চিত্র দেখা গেল কালীঘাট মন্দিরে। আর পাঁচটি রবিবার পুজোয় ভিড় থাকায় বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও আগের নববর্ষের তুলনায় তা কম বলে দাবি ভক্তদের।

কালীঘাটে পয়লা বৈশাখের ভিড়ে সন্তুষ্ট নন সেবায়েত-ব্যবসায়ীরা

image source : PTI

সকাল-বিকেল পেরিয়েও বদলায়নি চিত্র। এমনকি দর্শনার্থীরা মন্দিরে লাইনে দাঁড়ানোর সময়, পদদলিত হওয়ার পরিচিত চিত্রটি কার্যত অদৃশ্য হয়ে গেছে। পুলিশ সদস্যরাও ভিড়কে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। আর সকালে যে ভিড় দেখা যেত, তাও বিকেল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে। চাকররাও বাড়ির দিকে পা বাড়াল।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এমনই চিত্র দেখা গেল কালীঘাট মন্দিরে। আর পাঁচটি রবিবার পুজোয় ভিড় থাকায় বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও আগের নববর্ষের তুলনায় তা কম বলে দাবি ভক্তদের। ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবীদের একাংশের দাবি, স্কাইওয়াক নির্মাণ ও সংস্কারের কারণে কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিশৃঙ্খল অবস্থা। প্রবেশ সড়কটি এখনো গর্তে ভরা।সেই ভাঙা, সরু পথ এড়াতে অনেকেই মন্দিরের দিকে মুখ করেনি। আরেক অংশ জানান, তীব্র গরম এড়াতে অনেকেই আসেননি। পরিবর্তে, তিনি বাড়ির কাছে একটি মন্দিরে পূজা করেছিলেন।

এদিন মন্দির সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন গলিতে হালখাতা ও লক্ষ্মী-গণেশ পূজার জন্য অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে অনেক ভক্ত মেজবানের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে আয়োজকদের উপস্থিতি তেমন ছিল না বলে অনেকের দাবি। একজন সেবা কর্মী বলেন, “বাংলা নববর্ষে দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়া ক্রমশ কমছে। করোনার সময়ও কম লোক আসত। কিন্তু এ বছরের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।

কোনো দর্শনার্থী না থাকায় অনেক পূজারী দুপুরের আগেই মন্দির প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। সাড়ে এগারোটার দিকে একজন চাকুরীজীবী বলেন, “আজ খুব বেশি ভিড় থাকবে না। কিছু বাঁধাধরা আয়োজক ছিল। অনেকে ফোনে বলেছেন, রাস্তার অবস্থা খারাপ। তার উপরে, প্রচণ্ড গরম। তাই। তারা স্থানীয় পুরোহিতের সাথে পূজা করেছে।সারাদিন বসে থাকার কোনো মানে হয় না। গরমে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেওয়া ভালো।” দুপুর-বিকালের পর মানুষ তেমন আসবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *